পুকুরের মাছ চুরি, মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক ইউনুস আলী ও তার ছেলেকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাগাতিপাড়া আমলি আদালতের বিচারক মোসলেম উদ্দিন এ আদেশ দেন। তাদের কারাগারে পাঠালেও আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক ইউনুস আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত এসএম আবুল কালাম আজাদের পরিবারের ৩৩ শতাংশের একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি সকালে অধ্যাপক ইউনুস লোকজন নিয়ে বিবদমান ওই পুকুর থেকে দেড় মণ মাছ ধরে নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে আজাদের স্ত্রী সেলিনা বানু ডেইজি, তার মেয়ে সাদিয়া আফরিন, দেবর এসএম হুমায়ুন কবির ও দেবরের স্ত্রী নাজমুন নাহার মিতাসহ অন্যদের নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে ইউনুসের বাড়িতে যান। এ সময় ইউনুস ও তার স্ত্রী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ফরিদা পারভীন এবং তাদের ছেলে ইফতেখার রহমান সৌরভ তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেন। হামলাকারীরা কাঠের বাটাম দিয়ে মারধর করার পাশাপাশি বাদীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। তা ছাড়া গলার স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নিয়ে তার শ্লীলতাহানিও করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার পর অভিযুক্তরা আদালত থেকে জামিন নেন। মঙ্গলবার মামলার নির্ধারিত তারিখে পুনরায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক বাবা-ছেলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সুখময় রায় জানান, পুকুর নিয়ে বিবাদের জেরে অধ্যাপক ইউনুস আলী প্রথমে মামলা করেন। পরে পাল্টা হিসেবে সেলিনা বানু মামলা করেন।