প্রায় ২০ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন আশরাফুল আলম (৪০)। মানুষ দেখলেই শুরু করেন মারধর ও গালাগাল। উপায়অন্ত না পেয়ে হাতে-পায়ে দড়ি দিয়ে ঘরের সিড়ির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। তবে চিকিৎসা করালে সুস্থ হয়ে উঠবেন আলম। কিন্তু অভাব-অনটনের সংসারে যেখানে দু-এক বেলা না খেয়ে কাটাতে হয়। সেখানে ছেলের চিকিৎসা কীভাবে করাব। ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে মানুষের বাড়িতে কাজ করতে চাইলেও বৃদ্ধ হওয়ায় কেউ কাজে নেন না, কথাগুলো বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধ বাবা আজিম উদ্দিন।
আশরাফুল আলম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সারডুবী এলাকার দিনমজুর আজিম উদ্দিনের ছেলে। ছেলের চিকিৎসা খরচের চিন্তায় দিশেহারা বৃদ্ধ বাবা। ছেলেকে সুস্থ করতে হাট-বাজারে মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পাতছেন তিনি।
জানা গেছে, আশরাফুল আলমের সামনে কেউ পড়লেই শুরু করেন মারধর। এমনকি তার বৃদ্ধ মা-বাবাও পার পান না। ফলে এসব থেকে রক্ষায় হাতে-পায়ে দড়ি দিয়ে ঘরের সিড়ির সঙ্গে বেঁধে রাখেন তার বাবা-মা। এতে প্রচণ্ড যন্ত্রনায় ছটফট করেন হাউমাউ করে কান্নাও করেন আশরাফুল। তবে ডাক্তার বলেছেন, চিকিৎসা করালেই সুস্থ হয়ে উঠবেন আলম। কিন্তু অভাব অনটনের সংসারে ছেলের চিকিৎসার টাকার চিন্তায় দিশেহারা পরিবার।
আলমের বাবা আজিম উদ্দিন বলেন, এখন তাদের একটাই আশা, চাওয়া-পাওয়া ও ভাবনা ছেলেকে সুস্থ করা। কিন্তু তা কি কখনো সম্ভব? তাই তিনি সমাজের বৃত্তবানদের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলের চিকিৎসার জন্য আকুল আবেদন জানান।
Link a Story
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের উদ্যোগ নেন : শিক্ষামন্ত্রী
বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আতিয়ার রহমান জানান, ওই পরিবারটিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী যদি সহযোগিতা করেন তাহলে হয়তো ছেলেটি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, ‘বিষটি জানার পর খোঁজখবর নিতে লোক পাঠিয়েছি। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত শুনে আমি সেখানে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা (আজিম উদ্দিন), মোবাইল নম্বর-০১৭৮৮১৩৩৬২৩ (বিকাশ পার্সোনাল)।