বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ ওয়াজেদ আলী পাটগ্রাম ফাতেমা প্রি ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডার গার্টেন স্কুলের পরিচালক ছিলেন। গত কিছু দিন থেকে ওই স্কুলের শিক্ষক নাহিদুজ্জামান প্রধান ওরফে বাবুর সাথে স্কুল নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে ওয়াজেদ আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে নিহতের পরিবার।
এ ঘটনায় আজ রোববার নাহিদুজ্জামান প্রধান ওরফে বাবুকে প্রধান আসামি ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে স্থানীয় থানায় মামলা করেছেন নিহতের ছোট ছেলে রিফাত হোসেন।
নাহিদুজ্জামান প্রধান উপজেলার রসুলগঞ্জ পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুস ছামাদ প্রধানের পুত্র। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে বাবু গা ঢাকা দিয়েছে বলে তার দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। নাহিদুজ্জামানকে আটক করলে হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের প্রয়াত আবেদ আলী এমপির ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলীকে (৬৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে পাটগ্রাম পৌরভবন সংলগ্ন ফাতেমা প্রি ক্যাডেট স্কুলের গলির সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার মাথা ও গলায় ছুরির আঘাত রয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাজার থেকে নিজ বাসায় ফেরার সময় পেছন থেকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ছুটে এসে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে এম ওয়াজেদ আলীর গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।