কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- মামলার ১ নম্বর আসামি ট্রলার মালিক বাইট্টা কামাল এবং ৪ নম্বর আসামি নুরুল করিম ওরফে করিম সিকদার মাঝি।
আজ বুধবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দুর্জয় বিশ্বাস দুই আসামিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রিজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেন।
এসআই দুর্জয় বলেন, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর আজ থেকেই আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার মালিক নিহত শামসুল আলম ওরফে শামসু মাঝির স্ত্রী রোকেয়া আকতার বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন- মাতারবাড়ীর আনোয়ার হোসেন ও বাবুল মাঝি।
গত রোববার নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলারটির হিমঘর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ট্রলারটির মালিক মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া এলাকার ছনখোলা পাড়ার শামসুল আলম ওরফে শামসু মাঝি। নিহতদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন।
ছয়জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলেও চারজনের লাশ মর্গে রয়ে গেছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর সেগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য। আমাদের কাছে আসা সব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’