
প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কে রাগ-অভিমান বলা যায় নিত্যদিনের ঘটনা। অবশ্য সেই রাগ-অভিমানের মোড়কে যে ভালোবাসা থাকে তার আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে। তাই কোনো কারণে প্রিয়জন রাগ বা অভিমান করলে তা ভাঙাতে নানা পন্থা বেছে নেয় মানুষ। জামালপুরের এক প্রেমিক তার প্রেমিকার মান ভাঙাতে ভিন্ন পদ্ধতি নিয়েছেন।
প্রেমিকাকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে কলেজের ফটকের সামনে ফেস্টুন লাগিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পাকা সড়কে দুঃখের প্রতীকী চিহ্ন আঁকিয়েও লিখেছেন ‘সরি’।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজ ফটকে লাগানো এমন ফেস্টুন এবং সড়কে লেখা নিয়ে আলোচনায় মেতেছেন স্থানীয়রা। আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, গত রাতে কোনো এক প্রেমিক মেলান্দহের জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজ এবং তার পাশেই মেলান্দহ কারিগরি মহিলা কলেজের ফটকের সামনে তিনটি ফেস্টুন টাঙিয়েছেন।
আজ বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, কলেজের সাইনবোর্ডের ওপরে গাছে টানানো হয়েছে ফেস্টুন। তাতে ইংরেজিতে লেখা ‘সরি সরি’। পাশেই রাস্তায় দুঃখ প্রকাশের প্রতীকী চিহ্ন অংকন করেও লেখা হয়েছে ‘সরি’। এ কলেজের পাশেই মেলান্দহ কারিগরি মহিলা কলেজের সাইনবোর্ডের পাশে বড় একটি গাছেও টাঙানো হয়েছে দুটি ফেস্টুন। তার একটিতে লেখা হয়েছে, ‘প্লিজ কামব্যাক টু মাই লাইফ, আই লাভ ইউ’। আরেকটিতে লেখা হয়েছে, ‘আই মিস ইউ এভরিডে, আই মিস ইস এভরিটাইম’।
এ বিষয়ে মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রেমিকার রাগ অভিমান ভাঙাতেই প্রেমিক এমন ব্যতিক্রমী পদ্ধতিতে মনের কষ্ট প্রকাশ করে তার জীবনে প্রেমিকাকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক শিক্ষার্থী বলেন, এমন ঘটনা আগে কখনো দেখিনি। প্রেমিকা হয়তো আমাদের কলেজেই পড়ে সে জন্যই গেটের সামনে ফেস্টুন টানিয়ে দিয়েছে প্রেমিক। যাতে প্রেমিকার নজরে পড়ে অভিমান ভাঙে।
কলেজের পাশে আছাদ নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, গতরাতে দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় দেখি দুই ছেলে গাছে কী যেন লাগাচ্ছে, আমাকে দেখে নিচে নেমে পড়ে। আজ সকালে আসার সময় দেখি এসব ফেস্টুন।
এ বিষয়ে জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, রাতের আঁধারে কলেজের গেটের সামনে এসব ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। ফেস্টুনগুলো খুলে ফেলা হবে।