ঝিনাইদহে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় এক ব্যক্তি ও তার প্রথম স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি বজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী মোছা. চম্পা খাতুন। তারা দুজনই পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারে ডিম ও তরকারির ব্যবসা করতেন মাজেদা খাতুন। সেখান থেকেই আসামি শহিদুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। এরপর মাজেদা রামচন্দ্রপুর গ্রামে স্বামী ও সতীনের সঙ্গে থাকতেন। এক পর্যায়ে মাজেদার কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন শহিদুল। মাজেদা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতেন। ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি মাজেদা ঘরে শুয়ে ছিলেন। শহিদুল ও প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুন এ সময় মাজেদার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। দগ্ধ অবস্থায় পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
মাজেদার কোনো আত্মীয়-স্বজন না থাকায় স্থানীয় চৌকিদার শহিদুল ইসলাম ওইদিনই ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিলে অভিযোগপত্র দেয়।