দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পলিগ্রায়াগপুর ইউনিয়ানের চকহরিদাসপুর গ্রামের তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা শাহাবুল ইসলাম শাওনের সঙ্গে বিয়ের দাবিতে চার দিন ধরে তরুণীর অনশনের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছাত্রলীগ নেতা শাহাবুল ইসলাম শাওন (২৫)। বিয়ের পরই তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জে শাহাবুলের এক আত্মীয়ের বাড়িতে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এ বিয়ে হয়।
শাহাবুল ইসলাম বিরামপুরের পলিপ্রায়াগপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। বিয়ের পর সোমবার রাতেই বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শাহাবুলকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
ওই তরুণী মোসলেমা আক্তার ববির দাবি, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে শাহাবুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসলে শাহাবুল তাকে অন্য কাউকে বিয়ে করতে নিষেধ করেন। সেই সঙ্গে বিয়ে করার কথা বলে কালক্ষেপণ করে যাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং এর দুই মাস পর তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন শাহাবুল। বিভিন্ন সময় বিয়ের চাপ দিলেও তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে গত শুক্রবার সকাল থেকে শাহাবুলের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। এরই মধ্যে শাহাবুল বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
পলিপ্রায়াগপুর ইউপি সদস্য সামসুদ্দিন জানান, চার দিন ধরে শাহাবুলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে মেয়েটি অনশনে ছিলেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ছেলেমেয়ে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাদের বিয়ে হয়।
বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও লোকমুখে শাহাবুলের বিষয়টি জেনেছি। শাহাবুল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তাই তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।