ভোলার মেঘনা নদীতে পেট্রোল ও অকটেন নিয়ে ডুবে যাওয়া ‘সাগর নন্দিনী-২’ জাহাজটি এখনো উদ্ধার হয়নি। জাহাজটির ওজন বেশি হওয়ায় টেনে তুলতে পারছে না উদ্ধারকারী জাহাজ ‘সাগর বধূ-৩’। এ জন্য ‘সাগর বধূ-৪’ নামে আরেকটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে আনা হচ্ছে।
ভোলা জেলা বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক শহিদুল জানান, এই অয়েল ট্যাংকারটি ওঠাতে পারে এমন কোনো উদ্ধারকারী জাহাজ বিআইডব্লিউটিএর নেই। মালিকপক্ষ একটি উদ্ধার জাহাজ পাঠিয়েছে। আরও একটি উদ্ধার জাহাজ এলে দেশীয় পদ্ধতিতে ট্যাংকারটি ওঠানোর চেষ্টা করা হবে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ডুবে যাওয়া ট্যাংকারটি থেকে তেল উত্তোলন করে পাশে রাখা বলগেটে ট্রান্সফার করছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। চারদিকে কিছুটা তেল ছড়িয়ে পড়ার চিহ্ন থাকলেও লাল পতাকা দিয়ে ও এলাকায় না যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (ইলিশা) সোলাইমান বলেন, গতকাল বিকেল ৫টা থেকে সারারাত তেল উত্তোলন অব্যাহত ছিল। এখন তেল উত্তোলন প্রায় শেষের দিকে। উত্তোলন করা তেল একটি বলগেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ মুহূর্তে তেল কিছুটা ছড়িয়ে পড়লেও তা বড় আকারের নয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, এই তেল নদী, সাগর মোহনায় ছড়িয়ে যাবে তেল পানির সঙ্গে যোগ হলে ইকো সিস্টেমকে ক্ষতি করবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে ইলিশ চলাচলের ওপর। এলাকাটি ইলিশের অভায়রণ্যের মধ্যে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়াও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে পারব কি পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বরিশাল থেকেও লোক আসছে। তবে, এলাকাটি স্রোতবহুল হওয়ায় তেল জমে থাকেনি, স্রোতের টানে কিছু ভেসে গেছে। কতটুকু তেল ছড়িয়ে পড়ছে এখনো বলতে পারছি না। তবে, নদীর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার ভোরে ভোলার মেঘনা নদীতে ৯০০ টন পেট্রোল-অকটেনসহ সাগর নন্দিনী-২ নামে তেলবাহী জাহাজটি ডুবে যায়। তবে জাহাজে থাকা ১৩ জন স্টাফকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।