মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, বিজিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে, সীমান্ত দিয়ে যেন কোনোভাবেই দেশে মাদক ঢুকতে না পারে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মাদকের কারণে ধ্বংস না হয়ে যায় সেটি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। সীমান্ত দিয়ে মাছ গিয়ে মাদক আসাটা অনাকাঙ্ক্ষিত । আমরা চাই কোনো অবস্থাতেই যেন মাদক না আসে।’
তিনি বলেন, ‘মাদক, চোরাচালানসহ সীমান্তে হত্যা কমিয়ে আনতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।’
আজ বুধবার দুপুরে আখাউড়া সীমান্ত পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা কারোরই কাম্য নয়, একটা জীবন মেরে ফেলুক, তারাও চায় না আমরাও চাই না। তারাও চায় আমরাও চাই সীমান্তে হত্যা যতটুকু কমিয়ে আনা যায়।’
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধার মুখে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ভবন, কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদীর সেতুর কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘২০১৬ সালে কাজটি শুরু হয়ে ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যেন সমাধান হয়ে যায়। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার পক্ষ থেকে বিএসএফসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে অফিসিয়ালি যোগাযোগ হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুত একটি পজিটিভ ফল আসবে এবং কসবা ও সালদা নদীর রেলওয়ে যে প্রজেক্ট আছে সেগুলোতে খুব দ্রুত এর কার্যক্রম শুরু হবে।’