
পিরোজপুর সদর উপজেলায় গণপিটুনিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন।
নিহত কবির মৃধা (৩৮) বাদুরা গ্রামের মৃত কাদের মৃধার ছেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন জানান, কবির মৃধা এলাকার ‘চিহ্নিত চোর’। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্রামের পনির মৃধার বাড়িতে চুরি করতে যায়। শব্দ পেয়ে কবিরকে ধরে ফেলেন পনির ও তার স্ত্রী। এ সময় কবির তাদের ওপর হামলা চালান এবং পনিরের স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেন। পরে তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে ধরে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় কবিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, কবিরের হামলায় আহত পনির ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগম পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত কবিরের মা রোজিনা বেগম অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, যদি সে চুরি করতে গিয়ে ধরা পরে তাহলে তাকে পুলিশে দেবে। পুলিশ বিচার করবে। কিন্তু পিটিয়ে হত্যা করবে কেন। তিনি তার ছেলে হত্যার বিচার চান।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত শাবল, ছুরিসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কবির মৃধার নামে পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন থানায় ছয়টি চুরির মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।