দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার এক দুস্থ নারীর চিকিৎসার জন্য অনুদানের টাকা পাইয়ে দিতে চেয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বিরামপুর উপজেলা শাখার এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা উপজেলার জোতবানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রাজন সৌরভ। তিনি কসবাসাগরপুর (জালাপাড়া) গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক কালবেলাকে বলেন, ‘অসুস্থ ওই নারীর কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রাজন সৌরভের টাকা নেওয়ার ঘটনাটি ইতোমধ্যে আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা উপজেলার জোতবানী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রাজন সৌরভ। তিনি কসবাসাগরপুর (জালাপাড়া) গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
অভিযোগকারী নারী আঞ্জুয়ারা উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ফুলডাঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা। আঞ্জুয়ারা বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস আগে তানভীর আহম্মেদ সৌরভ আশ্রয়ণ প্রকল্পে আসেন। সেখানে এক দোকানির কাছ থেকে ওই এলাকার অসুস্থ লোকের সন্ধান জানতে চান। পরে দোকানদার আমাকে পরিচয় করে দেন। আমার কিডনি ও মেরুদণ্ডের হাড়ের সমস্যা আছে। সৌরভ আমাকে এমপির কাছ থেকে অনুদানের ৫০ হাজার টাকা পাইয়ে দিতে চেয়ে বিভিন্ন অজুহাতে ১৭ হাজার ৬০০ টাকা আদায় করেন। দীর্ঘদিনেও অনুদানের কোনো ব্যবস্থা করতে না পারায় টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন হুমকি দেন।’
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক নারী উজির সরকারের স্ত্রী সাবিনা বেগম কালবেলাকে জানান, তানভীর রাজন সৌরভ অনুদানের টাকা পাইয়ে দিতে চেয়ে আমার কাছেও তিন হাজার টাকা নেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা তানভীর রাজন সৌরভ বলেন, ‘আসলে আমি তার কাছে ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। বিভিন্ন মানুষ তাকে নানাভাবে প্রভাবিত করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
জোতবানী ইউনিয়নের কেটরাপাড়া গ্রামের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান দৈনিক কালবেলাকে জানান, দলীয় নিয়ম-শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার তানভীর রাজন সৌরভকে দল সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।