
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পাওনা টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে লাথি মেরে সন্তান মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত ৯ মার্চ ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার জামাই বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূর নাম ফুলমতি। তার স্বামীর নাম মমতাজ মিয়া। এ ঘটনায় ফুলমতি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ফুলমতি জানান, তার স্বামী মমতাজ মিয়া পশ্চিম তল্লা জামাই কাঁচামাল ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসার জন্য একই এলাকার ইমান আলীর কাছ থেকে গত ৮ মার্চ ১২শ টাকা দিয়ে একটি ডিজিটাল পাল্লা কেনেন। তবে পাল্লার টাকা নগদ ২৫০ টাকা দেন। বাকি টাকা এক দিন পর দেবেন বলে জানান।
পরদিন ৯ মার্চ সকাল ৯টার দিকে ইমান আলী দোকানে এসে পাওনা টাকা চান। একটু অপেক্ষা করতে বলায় ইমান আলী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় উভয়ের মধ্যে। একপর্যায়ে ইমান আলী তার ছেলে শাকিলসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন মমতাজ মিয়াকে দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে পেটাতে থাকে। খবর পেয়ে স্বামীকে বাঁচাতে ঘটনাস্থলে মনতাজের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী উপস্থিত হলে অভিযুক্তরা তাকেও মারধর করে এবং তার পেটে লাথি মারে। এতে তারা আহত হয়।
এ সময় স্থানীয় পথচারী ও বাজারের দোকানিরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্তঃসত্ত্বা ফুলমতিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে গর্ভে থাকা শিশুটি মারা যায়।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।