চাঁদপুরে পড়ে থাকা প্লাস্টিক থেকে তৈরি হচ্ছে সুতা। এতে এলাকা যেমন পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত হচ্ছে পরিবেশ, তেমনি তৈরীকৃত সুতা দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির মধ্য দিয়ে আয় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা।
এদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করায় খুশি পুরানবাজারের মেসার্স জুঁই প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিতে ইলিশ মার্কার কেঁকড়া সুতা তৈরির শ্রমিকরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে ওই কারখানায় গেলে শ্রমিকরা তাদের ভালো থাকার কথা তুলে ধরেন।
শ্রমিকরা জানান, বেকার বসে না থেকে এ কাজে জড়িত হয়ে ডাল-ভাত খেয়ে ভালো আছি। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি কেঁকড়া সুতা তৈরি হয়। এখানে গড়ে এক টনের মতো প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কাজ হয়। যার মধ্যে শুধু কেঁকড়া সুতাই তৈরি হয় প্রায় ৫০ লাখ টাকার। এ ছাড়া মেশিন পরিচালনাসহ যাবতীয় কাজে মালিকসহ একে অপরকে সহযোগিতা করায় এ কাজে তেমন একটা বেগ পেতে হয় না।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থানের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক সামগ্রী সংগ্রহ করার মধ্য দিয়ে এ কাজ শহরের পরিবেশদূষণমুক্ত করছে। তাই এ ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র চাইলে আমরা বিধি অনুযায়ী দ্রুতই তাদের ছাড়পত্র দিয়ে পাশে থাকব।
চাঁদপুরের পুরানবাজারের মেসার্স জুঁই প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির স্বত্বাধিকারী উত্তম কুমার দে বলেন, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্যকে আনাচে-কানাচে থেকে কুড়িয়ে আনার এ কাজে পরিচ্ছন্নকর্মী, পথশিশু, ভাঙাড়ি দোকানি, প্যাকেজার ও কারখানায় সুতা তৈরির কর্মী সহ সবমিলিয়ে কয়েকশ বেকার নারী-পুরুষের এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিসিক চাঁদপুরের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহরিয়ার খান বলেন, এ উদ্যোক্তা যদি আমাদের কাছে আসে, তাহলে অবশ্যই পরিবেশবান্ধব এ কারখানাকে টিকিয়ে রাখতে তাদের পাশে থেকে প্রশিক্ষণ এবং ঋণ সহায়তা নিয়ে দাঁড়াব। ওনারা যদি এখানে বিধি অনুযায়ী প্লট বরাদ্দ চাইলে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। এ ছাড়া ঋণ সহায়তাও দিতে সাহায্য করব।