নওগাঁর রাণীনগরে কাশিমপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পদ থাকলেও ডাক্তার না থাকায় প্রায় তিন মাস ধরেই চলছে অফিস সহায়ক দিয়ে চিকিৎসাসেবা। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক রোগী এই কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন। সেবা নিতে আসা রোগীরা বলছেন, তারা বিপদে পড়েই সেখানে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের দিঘির পাড় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি অবস্থিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় কেন্দ্রে পার্শ্ববর্তী গোনা ও মিরাট ইউনিয়নের লোকজনও নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এই কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অবসরজনিত কারণে বিদায় নেওয়ার পর প্রায় তিন মাস ধরে এখানে কোনো ডাক্তার দেওয়া হয়নি। ওই কেন্দ্রটিতে স্বাস্থ্যসেবা চলমান রাখার স্বার্থে আজাদ আহসানুল হক নামে একজন ফার্মাসিস্টকে ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সপ্তাহে দুদিন এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসেন। বাকি দিনগুলো এই কেন্দ্রের অফিস সহায়ক হুমায়ন রোগীদের বর্ণনা মতো ওষুধ দিয়ে থাকেন। চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় এই এলাকায় বসবাসরত মানুষগুলো যথাযথ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, চিকিৎসার মান ধরে রাখতে জরুরি ভিত্তিতে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন চিকিৎক দেওয়া হোক।
Link a Story
হাসপাতালে রোগীর মাথা ফাটালেন চিকিৎসক
উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুস ছামাদ (৫৫) বলেন, ‘অসুখ হলে আমি এখানেই এসে ওষুধ নিই। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় পিয়ন যে ওষুধ দেয় সেটিই খাই। ভালো চিকিৎসার জন্য এখানে একজন ডাক্তার খুবই জরুরি।’
কাশিমপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অফিস সহায়ক হুমায়ুন বলেন, ‘রোগীদের ওষুধ দেওয়ার দায়িত্ব আমার না। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রাথমিক কিছু যেমন : সর্দি, জ্বর, কাশি ডায়রিয়ার ওষুধপত্র আমি দিই। এখানে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। ইনচার্জ হিসেবে একজন ফার্মাসিস্ট আছে তিনি এখানে সপ্তাহে দুদিন বসেন।’
Link a Story
ঘোষণা দিয়ে ‘কাইজ্যা’, লোক ভাড়া করে হামলা-ভাঙচুর
কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বাবু বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। অধিকাংশ মানুষই নানা অসুখ-বিসুখে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে যান। প্রায় তিন মাস ধরে ডাক্তার না থাকায় পিয়ন দিয়ে রোগীদের ওষুধ দেওয়া হয়। যা রোগীদের স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবি, এখানে জনস্বার্থে একজন ভালো ডাক্তার দেওয়া হোক।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. ইফতেখায়রুল আলম খান বলেন, ‘কাশিমপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যে ডাক্তার ছিলেন সম্প্রতি তিনি অবসরে যাওয়ার কারণে বিদায় নিয়েছেন। তার কাগজ পত্র ইতিমধ্যে ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে। পোস্টিং সাপেক্ষে ওই কেন্দ্রে চিকিৎসক দেওয়া হবে। অফিস সহায়ক রোগী দেখেন না, শুধু অফিস খুলে রাখেন। তবে চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওষানে একজন চিকিৎকে পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করব।’