
অবশেষে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য অনুমোদিত কমিটি থেকে বাদ পড়লেন আলোচিত সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি হালিমুল হক মীরু। কমিটি অনুমোদন হওয়ার পর বিভিন্ন অভিযোগে তা স্থগিত রাখা হয়। ১৮ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার হালিমুল হক মীরুসহ দু-একজনকে সংযোজন-বিয়োজন করে অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শাহজাদপুরে সমকালের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক মেয়র হালিমুল হক মীরুকে সদ্য অনুমোদিত জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে কেটে দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। তার পরিবর্তে ফিরোজ নামে একজনকে সদস্য করা হয়েছে। এ ছাড়া কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিনের নামও সদস্য পদ থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদধারী যারা জেলা আওয়ামী লীগে পদ পেয়েছেন তাদের পূর্বের পদ থেকে রিজাইন দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান সভাপতি ও আব্দুস সামাদ তালুকদার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। প্রায় এক বছর পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দলটির ৭৪ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি ও ২৭ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওই কমিটিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে স্থান পান সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও সাবেক পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরু।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সমকালের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরুসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে মিরুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২ বছর সাড়ে ৯ মাস কারাভোগ করে জামিনে আছেন তিনি। মামলাটি বর্তমানে রাজশাহীর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। গ্রেপ্তারের পরপরই দল থেকে মিরুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তখন মেয়র পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।