কেউ নির্বাচনে এলো কিনা, আ.লীগের কিছু যায় আসে না : নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক পুরোনো ছবি

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই একটা নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক দল। দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী। কারণ, আমরা জানি ক্ষমতার পটপরিবর্তনের উত্তম উপায় হচ্ছে নির্বাচন।

তিনি বলেছেন, যারা অগণতান্ত্রিক তাদের নির্বাচনে আগ্রহ থাকে না। কেউ কেউ আত্মমর্যাদা হারানোর ভয়ে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায় না। আবার কারও কারও ইচ্ছা থাকলেও তথাকথিত নেতাদের রক্তচক্ষুর ভয়ে সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বা বয়কট করে। এটিই হচ্ছে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা। দেশের মানুষ এদের অনেক আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের কোনো জনসমর্থই নেই। কেউ নির্বাচনে এলো কিনা, তাতে আওয়ামী লীগের কিছু যায় আসে না।

আজ শনিবার সিলেট মহানগরীর একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য গঠিত পশ্চিমাঞ্চলীয় সেন্টার কমিটির নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় নানক বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে শেখ হাসিনার নেতাকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কাউকে ‘মাই ম্যান’ হিসেবে তৈরি করা যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নানক আরও বলেন, এবারের এই নির্বাচনে যেসব নেতাকর্মী ত্যাগ স্বীকার করবেন, কর্ম অনুযায়ী তাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে। আর যারা কাজ করবেন না বা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন তারা দয়া করে দল ছেড়ে দেবেন। অন্যথায় দল থেকে বের করে দেওয়া হবে। 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক
সিটি নির্বাচন না করার ঘোষণা মেয়র আরিফুলের

সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, সিলেটের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে যেভাবে মাঠে নেমেছেন, কাজ করছেন এতে প্রমাণ হচ্ছে আওয়ামী লীগ সব সময় ঐক্যবদ্ধ। এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। ১০ বছর ধরে আমরা টাকা দিলেও তার সদ্ব্যাবহার হয়নি। কেন হয়নি? সিলেটবাসীকে এর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। এখন আনোয়ারুজ্জামানের হাত ধরেই সরকার সেটি করবে। সরকারি বরাদ্দের সদ্ব্যাবহারের মাধ্যমে সিলেটবাসীর উন্নয়ন হবে। একটি আধুনিক ও স্মার্ট নগরী হিসেবে বিশ্বজোড়া পরিচিতি পাবে এই আধ্যাত্মিক নগরী।

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দলের নেতাকর্মী আমাকে যেভাবে সমর্থন এবং সহযোগিতা করছেন আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আগামী ২১ জুন নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আপনারা মাঠ ছাড়বেন না। নগরীর প্রত্যেকটি ভোটারের কাছে গিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে ভোট চাইতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি যদি নির্বাচিত হই, তাহলে পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে একটি স্মার্ট নগরী উপহার দেব। নগরবাসীকে যাতে উন্নয়ন দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, সে ব্যাপারে সচেতন থেকে কাজ করব। সারা দেশের মধ্যে সিলেটই হবে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এবং বাসযোগ্য নগরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশফাক আহমেদ, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, জি এম জেড কয়েছ গাজী, অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম হাসান জেবুল, বিধান কুমার সাহা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুব্রত পুরকায় প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com