ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফেনীর ৪৮৮ সরকারি স্কুলে নেই শহীদ মিনার

ফেনীর ৪৮৮ সরকারি স্কুলে নেই শহীদ মিনার

ফেনীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। জেলায় মোট বিদ্যালয় আছে ৫৫৯টি। এর মধ্য ৪৮৮টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। মাত্র ৯২টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, ফেনী সদর উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪৪টি বিদ্যালয়েই শহীদ মিনার নেই। আছে ৭টিতে। দাগনভূঞা উপজেলার ১০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৫টি বিদ্যালয়ে নেই। শহীদ মিনার আছে ৭টিতে। সোনাগাজী উপজেলার ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৪টি বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার, আছে ১৬টিতে। ছাগলনাইয়া উপজেলার ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭২টি বিদ্যালয়ে নেই। আছে ৬টিতে। পরশুরাম উপজেলার ৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৮টি বিদ্যালয়ে নেই। আছে ৩টিতে।

এ ছাড়া ফুলগাজীতে ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৫টি বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার। আছে ৩২টিতে।

শিশুশিক্ষার্থী প্রথমা নাগ জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা তাদের দাবি। না থাকায় তারা প্রতি ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে না।

শিক্ষার্থী বিবি আয়েশা জানান, শহীদ মিনার নেই, এটি তাদের ভীষণ দুঃখ। প্রতি বছর কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে তারা ভাষা দিবস পালন করেন। কিছুদিন থাকার পর শহীদ মিনারটি নষ্ট হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীর অভিভাবক শাহিদুল হক আরিফ বলন, ‘শহীদ মিনার থাকলে শিশু শিক্ষার্থীরা বাঙালি জাতির ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতির সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেত।’ তাই প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য প্রাথমিক অধিদপ্তরের উদ্যোগ কামনা করেন তিনি।

সুলতানপুর আমিন উল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চয়নিকা চৌধুরী বলেন, “২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি জাতির মাতৃভাষা বাংলা অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলে কোমলমতি শিশুশিক্ষার্থীরা শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার সুযোগ পেত।”

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ফেনীর সাধারণ সম্পাদক সমর দেবনাথ বলন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ছড়িয়ে দিতে এবং নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম-ভাষাপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে সব শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার গড়ে তোলা দরকার।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন আহমদ জানান, প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের নির্দেশনা আছে। সরকারি নির্দেশনামতে স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়ে এগুলো নির্মাণ করতে হবে। যেগুলোতে শহীদ মিনার নেই, সেগুলোতে নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন।

২০২০ সালে হাইকোর্ট আদেশ দিলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে কারও কার্যকারিতা নেই। ভাষা আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আর সম্মান শিশুমনে জাগ্রত করতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার গড়ে তোলা আবশ্যক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পহেলা বৈশাখে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী

আবহাওয়া নিয়ে আরও বড় দুঃসংবাদ

উপজেলা নির্বাচনের নামেও প্রহসন করছে সরকার : ভিপি নুর

ফ্রান্সের ইরানি দূতাবাসে বোমা আতঙ্ক, আটক ১

দুই কারারক্ষীর অনৈতিক সম্পর্ক, প্রধান কারারক্ষীসহ বদলি ৩

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ, সেই কৃষকদের শসা কিনল ‘স্বপ্ন’

চার জেলার সঙ্গে রংপুরের বাস চলাচল বন্ধ

ফেসবুক ব্যবহার বন্ধের পরামর্শ!

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৩৪ হাজার ছাড়াল

জামায়াতের তিন নেতা গ্রেপ্তার 

১০

সাগ্রাইয়ের শেষ দিনে মৈত্রী পানি উৎসব

১১

ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বিল দখলের চেষ্টা, কর্মী গুলিবিদ্ধ

১২

শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর শোক

১৩

আগের ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ের পরও একাদশে মোস্তাফিজ 

১৪

অসুস্থ নেতার পাশে মহানগর বিএনপি

১৫

ট্রাফিক সদস্যদের বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন দিচ্ছে ডিএমপি কমিশনার

১৬

চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

১৭

নির্বাচন করবেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী, আলোচনায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বাড়ি

১৮

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পথে আইসিসি

১৯

মরা মুরগির ঘিলা-কলিজা বিক্রি করেই কোটিপতি সুজন

২০
*/ ?>
X