
আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থি সদস্যদের বিরুদ্ধে সব মামলা পর্যালোচনা করে সেই অনুযায়ী তাদের পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে যারা আত্মসমর্পণ করবেন না তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি কেউ অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তাদের বিরুদ্ধে কঠিনতর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ রোববার সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় র্যাব-১২ সদর দপ্তরে আয়োজিত ৩১৫ চরমপন্থি সদস্যের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চলনবিলসহ আশপাশের অঞ্চলগুলো দুর্গম যোগাযোগ থাকায় চরমপন্থিরা এ অঞ্চলে তাদের ঘাঁটি স্থাপন করে। আদর্শিক দ্বন্দ্ব কিংবা আর্থিক ভাগাভাগির ফলে সংগঠনগুলোয় ক্রমাগত বিভেদ সৃষ্টি হয়ে ভিন্ন ভিন্ন নামে দল-উপদলে বিভক্ত হয়। তবে তাদের কর্মকাণ্ড ছিল একরকম। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পদক্ষেপের ফলে ‘সন্ত্রাসী পেশা ছাড়ুন আলোকিত জীবন গড়ুন’- এ স্লোগান সামনে রেখে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাস দমন ও চরমপন্থিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়।
র্যাবের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র্যাব এখন জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে। যেখানেই জঙ্গি-চরমপন্থি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থান সেখানে র্যাবের নিরলস প্রচেষ্টায় আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। আমরা র্যাবকে সব ধরনের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তাদের যা প্রয়োজন ইকুইভমেন্ট সবকিছু দিয়েছি। কেউ যদি বলেন দুর্গম চরাঞ্চলে বসে থাকবেন আর আমরা আপনাদের ধরতে পারব না তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। স্বাভাবিক জীবন সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্য প্রয়োজন। বিষয়টি উপলব্ধি করার মাধ্যমে বিপথগামী চরমপন্থি গোষ্ঠীকে সঠিক-সুন্দর পথে ফিরিয়ে আনতে র্যাব যে কাজ করেছে সেজন্য প্রশংসনীয়।
র্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, র্যাব-১২ অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মারুফ হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও আত্মসমর্পণকারী দলের কয়েকজন সদস্য ও তাদের স্বজনরা।
এ সময় অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, তানভীর শাকিল জয় এমপি, ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, মেরিনা জাহান কবিতা এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।