হরিনাকুন্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সাপের উপদ্রবে আতঙ্কে দিন কাটছে হরিণাকুণ্ডুর বাসিন্দাদের

সাপের উপদ্রবে আতঙ্কে দিন কাটছে হরিণাকুণ্ডুর বাসিন্দাদের

হরিণাকুণ্ডুর লোকালয়ে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড় থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষেত ও রাস্তাঘাটে বিষধর সাপের দেখা মিলেছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে সাপ আতঙ্ক।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, ব্যাপক হারে ঝোপঝাড় কেটে ফেলায় লোকালয়ে সাপের আনাগোনা বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হরিণাকুণ্ডুতে কালাচ, খৈয়া গোখরা, পদ্ম গোখরা, কৃষ্ণ কালাচ ও সিন্ধু কালাচ সাপের দেখা পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা মেলে কালাচ সাপের।

কয়েক বছরে হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন এলাকা থেকে যে সাপ বা সাপের বাচ্চা মারা অথবা উদ্ধার হয়েছে সবই ছিল এই কালাচ প্রজাতির। বর্ষা মৌসুম এলেই সাপের উপদ্রব বাড়ে। এ সাপে কামড়ানো ব্যক্তিদের বেঁচে যাওয়ার রেকর্ড খুবই কম।

স্থানীয়রা বলছেন, সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ অঞ্চলে সাপের উৎপাত দেখা গেলেও এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই সাপের আনাগোনা চোখে পড়েছে। উপজেলার পৌরসভা, জোড়াদাহ, ভায়না ও তাহেরহুদা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে দেড় মাস ধরে সাপের উৎপাত বেড়েছে। এই সময়ে এসব এলাকার অন্তত ৫ জন সাপের কামড়ের শিকার হয়েছেন।

গত বছর হরিণাকুণ্ডুতে ৩০ জন সাপের কামড়ের শিকার হন এবং এতে ১০ জনের মৃত্যু হয়। করোনার সময়ে হরিণাকুণ্ডুতে করোনার চেয়ে সাপের কাপড়ে বেশি মৃত্যু হয়।

চটকাবাড়িয়া গ্রামের বিপ্লব হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন ধরে গ্রামে সাপের উৎপাত বেড়েছে। রাস্তায় চলাচলের সময় গত তিন দিনে দুটি সাপ আমার গাড়ির চাকার তলে পড়েছে। ওই দুটি সাপই ছিল গোখরা।’

দীর্ঘদিন ধরে উপজেলাজুড়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সাপের দংশনজনিত মৃত্যুরোধে কাজ করছেন আবদুল্লাহ মারুফ। তিনি বলেন, ‘চলতি বছর শীতের মধ্যেও গোখরার উৎপাত লক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি সাপের উপদ্রব আরও বেড়েছে। হঠাৎ সাপের এই স্বভাব পরিবর্তন উদ্বেগের। এর পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তন অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। ঝোপঝাড় কেটে ফেলা সাপের বাস্তুহারা হওয়ার একটা বড় কারণ।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২৫ এপ্রিল : নামাজের সময়সূচি

সাতক্ষীরায় ৬০ বছর পর ৩৩ বিঘা সরকারি জমি উদ্ধার

দাবদাহে ঝরছে লিচুর মুকুল, দুশ্চিন্তায় দিনাজপুরে চাষিরা

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কুমিল্লায় গাছ লাগাচ্ছে ছাত্রলীগ

ফরিদপুরের ঘটনা আদিম যুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে : আব্দুর রহমান

২৪ ঘণ্টায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২ কর্মী খুন

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে বিপদে জর্ডান

‘হারল্যান স্টোর’ মিরপুর-১০ শাখার উদ্বোধন করলেন নুসরাত ফারিয়া

ভোলায় হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু

ফিতরা জাকাতের টাকা চেয়ে খুদে বার্তায় প্রতারণার ফাঁদ

১০

এক সপ্তাহের মধ্যেই পরমানু বোমার ইউরেনিয়াম পাবে ইরান!

১১

ননদের বিয়েতে টিভি উপহার দিতে চাওয়ায় স্বামীকে হত্যা

১২

মেঘনা নদীতে ভেসে এলো খণ্ডিত পা

১৩

ঈশ্বরদীতে হিটস্ট্রোকে স্বর্ণকারের মৃত্যু

১৪

সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মাইক’ পুরস্কৃত

১৫

নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি : গবেষণা

১৬

সরকারকে পরাজয় বরণ করতেই হবে : মির্জা ফখরুল

১৭

দেশে ফিরে কারাগারের লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন তারা

১৮

হরমোনজনিত সমস্যায় দেশের ৫০ শতাংশ মানুষ, জানেন না ৯০ শতাংশই

১৯

আনু মুহাম্মদের পায়ে আবারও অস্ত্রোপচার করা হবে

২০
*/ ?>
X