হরিণাকুণ্ডুর লোকালয়ে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড় থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষেত ও রাস্তাঘাটে বিষধর সাপের দেখা মিলেছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে সাপ আতঙ্ক।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ব্যাপক হারে ঝোপঝাড় কেটে ফেলায় লোকালয়ে সাপের আনাগোনা বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হরিণাকুণ্ডুতে কালাচ, খৈয়া গোখরা, পদ্ম গোখরা, কৃষ্ণ কালাচ ও সিন্ধু কালাচ সাপের দেখা পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা মেলে কালাচ সাপের।
কয়েক বছরে হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন এলাকা থেকে যে সাপ বা সাপের বাচ্চা মারা অথবা উদ্ধার হয়েছে সবই ছিল এই কালাচ প্রজাতির। বর্ষা মৌসুম এলেই সাপের উপদ্রব বাড়ে। এ সাপে কামড়ানো ব্যক্তিদের বেঁচে যাওয়ার রেকর্ড খুবই কম।
স্থানীয়রা বলছেন, সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ অঞ্চলে সাপের উৎপাত দেখা গেলেও এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই সাপের আনাগোনা চোখে পড়েছে। উপজেলার পৌরসভা, জোড়াদাহ, ভায়না ও তাহেরহুদা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে দেড় মাস ধরে সাপের উৎপাত বেড়েছে। এই সময়ে এসব এলাকার অন্তত ৫ জন সাপের কামড়ের শিকার হয়েছেন।
গত বছর হরিণাকুণ্ডুতে ৩০ জন সাপের কামড়ের শিকার হন এবং এতে ১০ জনের মৃত্যু হয়। করোনার সময়ে হরিণাকুণ্ডুতে করোনার চেয়ে সাপের কাপড়ে বেশি মৃত্যু হয়।
চটকাবাড়িয়া গ্রামের বিপ্লব হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন ধরে গ্রামে সাপের উৎপাত বেড়েছে। রাস্তায় চলাচলের সময় গত তিন দিনে দুটি সাপ আমার গাড়ির চাকার তলে পড়েছে। ওই দুটি সাপই ছিল গোখরা।’
দীর্ঘদিন ধরে উপজেলাজুড়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সাপের দংশনজনিত মৃত্যুরোধে কাজ করছেন আবদুল্লাহ মারুফ। তিনি বলেন, ‘চলতি বছর শীতের মধ্যেও গোখরার উৎপাত লক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি সাপের উপদ্রব আরও বেড়েছে। হঠাৎ সাপের এই স্বভাব পরিবর্তন উদ্বেগের। এর পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তন অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। ঝোপঝাড় কেটে ফেলা সাপের বাস্তুহারা হওয়ার একটা বড় কারণ।’