দিনাজপুরের বীরগঞ্জ জাতীয় উদ্যান সিংড়া শালবনে শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়ার পর সুস্থ করে ১০ শকুনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সুস্থ ১০ শকুনকে প্রকৃতির মাঝে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) মুখ্য গবেষক এবিএম সারোয়ার আলম, বিশ্বব্যাপী হুমকির সম্মুখীন প্রজাতি নিয়ে কাজ করা সেভ প্রকল্প পরিচালক মি. ক্রসি বাউডেন, বন সংরক্ষক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, বন বিভাগ ইমরান আহম্মেদ, আইইউসিএন প্রতিনিধি সাকিব আহম্মেদ ও কাজী জেনিফার আজমেরী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুর মো. বশিরুল-আল-মামুন ও ঠাকুরগাঁও ফরেস্ট রেঞ্জার তাসলিমা খাতুন প্রমুখ।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) মুখ্য গবেষক এবিএম সারোয়ার আলম জানান, উদ্ধার হওয়া শকুনগুলো পরিযায়ী প্রজাতির শকুন। শকুনগুলো শীতকালে হিমালয় অঞ্চল থেকে আমাদের দেশে আসে। অনেক দূর পথ পাড়ি দিয়ে আসার সময় দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে শকুনগুলো লোকালয়ে আটক হয়। তাদের উদ্ধার করে বন বিভাগের এবং আইইউসিএনের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলে। পরে তাদের জীবাণুমুক্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
Link a Story
২ শতাধিক সূর্যমুখী গাছ কাটল কারা?
সারোয়ার আলম আরও জানান, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় অঞ্চলে শকুনগুলো বেশি উদ্ধার হয়। এ বছর ৪৬টি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে এখান থেকে কিছু শকুন অবমুক্ত করা হয়। অন্য সাফারি পার্কে কিছু শকুন রয়েছে। কিছু জায়গায় ভ্রাম্যমাণ উদ্ধার সেন্টার করে সুস্থ করার পর প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সারা দেশে ২৪৯টি শকুন প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজকে ৩টি শকুনের শরীরে স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগানো হয়েছে তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য।