সৌদি আরবে বাংলাদেশি কিশোরীকে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সৌদি আরবে এক বাংলাদেশি কিশোরীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন ওই কিশোরীর পরিবার।

নির্যাতনের শিকার হ্যাপি আক্তার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পৌর এলাকার বাসিন্দা। গত বছরের আগস্টে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরবে যান তিনি। ঢাকার ফকিরাপুলের গোল্ডেন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সি তাকে সেখানে পাঠায়।

কয়েক দিন আগে হ্যাপি তাকে দ্রুত উদ্ধার করতে পরিবারের কাছে ফোনে একটি ভিডিওবার্তা পাঠান। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি মাইর-ধর নির্যাতন সহ্য করতে পারছি না। আমাকে খাবার খেতে দেয় না। ফোনও নিয়ে গেছে। আমাকে উদ্ধার করো। দেশে আনার ব্যবস্থা করো।’

হ্যাপির স্বামী মীর সোহাগ বলেন, ‘এরা আমার নববিবাহিত স্ত্রীকে আটকে রেখে খুব কষ্ট দিচ্ছে। খাবার দেয় না। খুব মাইর-ধর করছে। ফোনও কেড়ে নিয়ে গেছে। সর্বশেষ উদ্ধারের আকুতি জানিয়ে একটা ভিডিও পাঠিয়েছিল। সে এখন জীবন নিয়ে ঝুঁকিতে আছে। যে কাজের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই কাজ না দিয়ে অন্য কাজে তাকে জড়িত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

এদিকে হ্যাপি আক্তারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ৩ লাখ টাকা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

এ বিষয়ে গোল্ডেন এয়ার ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, ‘মেয়েটির স্বামী আমাদের কাছে এসেছিল। তবে মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। আমার বসের সঙ্গে কথা বলেন।’ তবে ওই কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com