
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশি বৈধতা দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ রিঙ্গিত ও পাসপোর্ট হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক নারীসহ তিন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক শ্যামসুল বদরিন মহসিন। তবে অভিবাসন বিভাগের পক্ষ থেকে এখনো আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।
জানা যায়, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ বিদেশিদের বৈধতা দিতে ‘রিক্যালিব্রেশন-২.০ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে দেশটির সরকার। আর এই প্রকল্পের আওতায় বৈধতা দেওয়ার নামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে থেকে লাখ লাখ রিঙ্গিত হাতিয়ে নিত প্রতারক চক্রটি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ৪৮ বছরের এক নারীসহ তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানের সময় ওই নারীর বাসভবন থেকে ২১৫টি সিআইডিবি কার্ড, নগদ ৬১ হাজার ৫৫০ রিঙ্গিত, তিনটি কোম্পানির লাইসেন্স ও ৩৬৭টি জব্দ করা হয়। যার সব পাসপোর্টই বাংলাদেশি। আর ওই নারীই এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা।
ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক বলেন, কুয়ালালামপুর অভিবাসন এনফোর্সমেন্ট বিভাগের অপারেশন ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে কুয়ালালামপুরের তামান মেলাতি উতামারে একটি আবাসিক ভবনে এবং তামান শ্রী রামপাইয়ের একটি অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তামান শ্রী রামপাইয়ের একটি অফিসে দ্বিতীয় অভিযানে ৫৩টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, কম্পিউটার ও প্রিন্টিং মেশিন, ১৯৮টি সিআইডিবি কার্ড, ছয়টি বিদেশি কর্মী কার্ড (আই-ক্যাড), সাতটি পেমেন্ট রেকর্ড বই, আটটি কোম্পানির ফাইল, তিনটি কোম্পানির লাইসেন্স, একটি ইউনিট সিসিটিভি ডিকোডার ও একটি স্মার্টফোন ইউনিট জব্দ করে।
এই চক্রটি নির্মাণ সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধতা দেওয়ার নামে জনপ্রতি ৮ হাজার ৩০০ রিঙ্গিত (প্রায় দুই লাখ দশ হাজার টাকা) এবং ২ হাজার রিঙ্গিতের (প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা) বিনিময়ে ‘রিক্যালিব্রেশন-২.০’-এর আওতায় রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার অফার দিয়ে আসছিল বলে জানানো হয়।