
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নারকীয় কাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় ২০ জন সাংবাদিক, অসংখ্য আইনজীবী আহত হয়েছেন। হাজার হাজার পুলিশ দিয়ে আইনজীবীদের বের করে দিয়ে একতরফা ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতীকী অনশনে এসব কথা বলেন বুলু। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সব রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন এ প্রতীকী অনশনের আয়োজন করে।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে যে ব্যালট বাক্স ছিনতাই হলো, সে ঘটনা কিন্তু আজকের নয়। ১৯৭৩ সালে ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনে ছাত্রলীগের পরাজয় নিশ্চিত জেনে সেদিন ডাকসু থেকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়েছিল। কার নেতৃত্বে ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছিল, সেটি মানুষ জানে। আমরা দেখেছি ১৯৭৩ সালে প্রথম ব্যালট বাক্স ছিনতাই এবং নির্বাচনের রেজাল্ট পাল্টে দেওয়ার সংস্কৃতি এ দেশে চালু হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি আমাদের প্রিয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীরসহ অসংখ্য নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাঁচ বছর ধরে কারান্তরীণ। যে দুই কোটি টাকার বিষয় নিয়ে উনাকে জেল দেওয়া হয়েছে, সে দুই কোটি টাকা ব্যাংকে আজ ১০ কোটি টাকায় রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়ার চেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী এখন পর্যন্ত নেই। ১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৩টি আসনে ভোট করেছেন। কিন্তু কোনো আসনে তিনি পরাজিত হননি। লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে তিনি প্রত্যেক আসনে জয় লাভ করেছেন।’
স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহীম, যুগ্ম সম্পাদক এম জাহঙ্গীর আলম প্রমুখ।