
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক তাদের ভুল অনুধাবন করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আজ শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীয় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তিন দেশে সফর করেছেন। যারা সফরসঙ্গী হয়েছেন, তাদের মুখে শুনলে ভালো হয়, কীভাবে জাপান প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করেছে এবং ৩০ বিলিয়ন ইয়েন নানা প্রকল্পে সহায়তার চুক্তি করেছে। বিশ্বব্যাংক তাদের ভুল অনুধাবন (পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি) করে শনিবার বন্ধের দিন প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে পারছিলেন না। তিনি বলেছেন শনিবার ছাড়া সময় নেই। বিশ্বব্যাংক ২.২৫ বিলিয়ন অর্থ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেছেন আমাদের আওয়ামী লীগের সরকার নাকি দেশে-বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে। দেশে আমাদের সমর্থন দেখার জন্য তাদের আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানাই। আসুন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, আপনি আমার আইডল এবং আমার স্ত্রী মেয়েদেরও আইডল। ফখরুল সাহেব এগুলো বুঝতে না পারলে কানের পরীক্ষা, দেখতে না পারলে চোখের পরীক্ষা করাতে পারেন।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি। করলে বহু আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। তিনি ১৯৮২ সালে ও ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। তিনি সেটি করেননি। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তিনি রাজনীতি করেন। তাই তিনি শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন।’
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার সার্থকতা সেখানেই, আজকে পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আজকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমরা সব সূচকে, ইকনোমিক ইনডেক্স, সোশ্যাল ইনডেক্স, হিউম্যান ইনডেক্স, হেলথ ইনডেক্স—সব সূচকে আমরা অনেক আগে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি।
আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন—সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।