
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সরকার দেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের কথা বিবেচনায় না নিয়ে একটি নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার সুগভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। নতুন করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনে বা সংস্কার সাধনে শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও আলেম-ওলামাদের মতামতের কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি।
তিনি বলেন, জাতিকে ধর্মহীন এবং গোড়া থেকে পঙ্গু করে দেওয়ার এক অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে অতি গোপনে বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রকাশ্যে অনৈতিক যেসব শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তা চলমান থাকলে কোমলমতি এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনৈতিকতা ও অশ্লীলতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পাঠ্য বইয়ের বিভিন্ন পৃষ্ঠায় বিভিন্ন পশু যেমন- কুকুর, নেকড়ের সঙ্গে মানুষের অর্ধনগ্ন ছবি ব্যাপকহারে ছাপানো হয়েছে। প্রতিবেশী একটি হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রের কৃষ্টি-কালচার ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হলেও কৌশলে ইসলামি তাহজীব-তমুদ্দুনকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে দেশে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। জাতি এক ধর্মহীন নাস্তিক্যবাদী চিন্তা চেতনায় গড়ে উঠবে, যা কারো জন্যই কল্যাণকর নয়। অতএব, দলমত-নির্বিশেষে সকলেরই উচিত এই নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা।
মুজিবুর রহমান বলেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান করে অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলাম বিদ্বেষী সব আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে পাঠ্যপুস্তক রচনার ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
জামায়াতের শিক্ষা শিবির
এদিকে জামায়াতে ইসলামী যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও অঞ্চল পরিচালক মুবারক হোসাইনের সভাপতিত্বে গতকাল শুক্রবার এক শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হয়ে বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোতে জনশক্তির ব্যাপক অংশগ্রহণের জন্য তিনি দায়িত্বশীলদের ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেন।