রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে : জি এম কাদের

বুধবার যাত্রাবাড়ীতে মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় জি এম কাদের।
বুধবার যাত্রাবাড়ীতে মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় জি এম কাদের। ছবি : কালবেলা

রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, মনে হচ্ছে দেশ একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে।

আজ বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার নুর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে অবস্থানে আছে, সেখান থেকে তাদের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যে দল সরে যাবে, সেই দলই যেন বিলীন হয়ে যাবে। আবার, যে দল পরাজিত হবে সেই দলের যেন মৃত্যু হবে। এই বাস্তবতায় একটি বড় ধরনের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতেই রাজনীতি করছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই যেন ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা থাকে। লজ্জার বিষয় হচ্ছে, এতদিনেও আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে পারিনি। ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় এমন অবস্থা তৈরি হয়, ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই যেন বড় ধরনের বিপদে পড়তে হবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই কেউ ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায় না।

বুধবার যাত্রাবাড়ীতে মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় জি এম কাদের।
‘শ্রমজীবী মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছেন, যা দুর্ভিক্ষের আলামত’

পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় একটি অনিশ্চিত ও সাংঘর্ষিক পরিবেশ সৃষ্টি হয় এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা এমন পরিস্থিতি চাই না। ইভিএমে নির্বাচন আমরা চাই না। কারণ, ইভিএমে নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ আছে। আমরা মনে করি, যারা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা দলীয়করণের মধ্যেই আছেন। তাদের হাতে ইভিএমের রেজাল্ট পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। আমরা মনে করি, ইভিএমের মাধ্যমে ভোটের ফল বদলে দেওয়া যায়।

ব্যবসায়ীরা এখন রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে- এ কথা তুলে ধরে জি এম কাদের বলেন, আবার মাদকের ব্যবসাই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। তাই দেখা যায়, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীরাই মাদক বিস্তারে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এ কারণেই দেশে মাদকের বিস্তার কমছে না।

তিনি বলেন, মাদক প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে বিচারে অনেককে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু মাদক নির্মূল করা যায়নি। এখন চা ও মুদি দোকানেও মাদক পাওয়া যায়।

মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি সেলিম নিজামীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন ডালু ও যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com