জামালপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ১০ দফা দাবিতে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা চলাকালে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জামালপুর সদর উপজেলার কমপক্ষে তিনটি ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়ন, বাঁশচড়া ইউনিয়ন এবং ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাঁশচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্কাছ আলীর ক্রোকারিজ দোকানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
সংঘর্ষে ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন বিএনপির এক কর্মীর মাথা ফেটেছে। অন্যদিকে ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, তাদের ৫ নেতা বিএনপি কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন।
অপরদিকে তিতপল্লা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিএনপির পাল্টাপাল্টি হামলা ঠেকাতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশের গুলিতে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি কর্মী জয়নাল ও সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানান বিএনপি নেতারা।
এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দৌলত উজ্জামান আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তিতপল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হজরত আলী ও অপর এক বিএনপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
জামালপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিউর রহমান জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের ছত্রছায়ায় তিতপল্লায় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের গুণ্ডা বাহিনী হামলা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিএনপির কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া এবং হামলার ঘটনা অস্বীকার করে জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান স্বপন বলেন, কোথাও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা করেনি, উপরন্তু তিতপল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা করেছে।
জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ ইমন কালবেলাকে জানান, আওয়ামী লীগ বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বার্থে তিতপল্লায় পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। বিএনপির দুই কর্মীকে এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে।