তিন মাসের মধ্যেই সরকার পতন : নুর

গণসমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
গণসমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।ছবি : কালবেলা।

সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন সঠিক পথেই রয়েছে দাবি করে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, এভাবে আন্দোলন চললে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটবে। এই অবৈধ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ রাজপথ ছাড়ব না, প্রয়োজনে রাজপথে জীবন দেব।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত দুর্নীতি ও দুঃশাসনবিরোধী গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

ভিপি নুর বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কথা বলছে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। তবে সরকার চাইলেও এবার আর আগের মতো নির্বাচন করতে পারবে না। করলে নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞার ঝামেলায় পড়বে, যা দেশকে ভেনিজুয়েলার মতো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। তাই দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচনের পর সরকার নিজেরা অগ্নিসংযোগ করে বিরোধীদের ওপর দায় চাপিয়ে বিদেশিদের কাছে বিরোধীদের সহিংস হিসেবে তুলে ধরেছে। এবারও সেই পুরোনো ষড়যন্ত্র করছে। তাই তারা হাত ভেঙে ফেলা, আগুনে পোড়ানোর কথা বলছে। বিরোধী দলগুলোর প্রতি আহ্বান, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে রাজপথে নামুন। সেই আন্দোলন যেখানেই হোক, যারাই করুক—সেটাই আমাদের আন্দোলন।’

সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে দেশকে বিদেশিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে বলে অভিযোগ করেন নরুল হক নুর।

গণসমাবেশে উপস্থিত গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী।
গণসমাবেশে উপস্থিত গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মী।ছবি : কালবেলা

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমাদের ভোটচোরের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ভোটচোরদের গায়ে পুশ করতে হবে। আগামীতে শুধু ভোট বর্জনই করা হবে না, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বন্ধ করতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ’১৪ ও ’১৮ মার্কা নির্বাচন আর বাংলাদেশে হবে না। এই নির্বাচন কমিশন যদি ভোটচোরদের সহায়তা করে, তাহলে নাইজেরিয়ায় ভোটচোরদের সহায়তাকারীদের মতো বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ওপরও মার্কিন স্যাংশন আসতে পারে।’

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, বিপ্লব পোদ্দার, সোহরাব হাসান, আবু হানিফ, সাদ্দাম হোসেন, শাকিল উজ্জামান, নাজমুস সাকিব, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জসিম উদ্দিন, পাঠান আজহার, সহকারী আহ্বায়ক শেখ খায়রুল কবীর, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সদস্যসচিব আতাউল্লাহ, আব্দুজ জাহের, তারেক রহমান, ফাতেমা তাসনিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ড. মালেক ফরাজী, সদস্য সচিব ঈসমাইল হোসেন বন্ধন, উত্তরের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সুহেল রানা সম্পদ, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ডা জাফর মাহমুদসহ অনেকে।

গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসার পর এই সমাবেশে ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির প্রমাণ দিল গণঅধিকার পরিষদ।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com