
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিদায় ঘণ্টা বেঁজে যাওয়ায় আবোলতাবোল কথাবার্তা বলতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দিতে চাওয়া কি হত্যার হুমকি নয়? মেয়র তাপস বলেছেন- সুশীল সমাজের যেসব প্রতিনিধি তাদের বুদ্ধি দিতে যাবেন, তাদের বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেবেন! এটা কী হত্যার হুমকি নয়। এতে কয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে?
শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে জেলা বিএনপির আয়োজনে এ জনসভা হয়।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কোনো সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার নিশিরাতের সরকার, ভোটচোর সরকার। এই সরকার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। যারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি তারা কখনোই জনগণের কল্যাণ চিন্তা করতে পারে না। ডলার ও টাকা পাচার হওয়াতে আজকে দেশে কৃত্রিম সংকট চলছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, কথা শোনার অধিকার নাই। মিছিল-মিটিং করার অধিকার নাই, আমাদের পেটে ভাত নাই। বাংলাদেশের সব টাকা-পয়সা লুট হয়ে যাবে; আর আমরা বসে বসে তামাশা দেখব। বাংলাদেশের জনগণ ১৪ বছর ধরে তামাশা দেখছে। তারা আর এই তামাশা দেখতে চায় না।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আমাদের কোন জেলে ভরবেন। পুরো দেশটাই তো জেলখানা হয়ে গেছে। তাই আমাদের মামলার ভয় দেখাবেন না, গুমের ভয় দেখাবেন না। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হামলা করলে পাল্টা দৌড়ানি দেবেন।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীরের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাঈদ, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আজাদ হোসেন খান প্রমুখ।