গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় গণতন্ত্র মঞ্চ

সাতটি দল ও সংগঠনের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গণতন্ত্র মঞ্চ।
সাতটি দল ও সংগঠনের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গণতন্ত্র মঞ্চ। ছবি : সংগৃহীত

সরকারের নির্বাহী আদেশে শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। আজ বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, দেশের অর্থনীতির এই মহাসংকটের মধ্যে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সামগ্রিকভাবে দেশকে আরও সংকটের দিকে নিয়ে যাবে। বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রায় তিনগুণ করা হয়েছে। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠছে। এই হারে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পণ্যের উৎপাদন খরচ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। জনজীবন বিপর্যস্ত হবে।

তারা বলেন, সরকার এবং সরকারি দলের মদতপুষ্টদের লুটপাটের খেসারত দিচ্ছে সাধারণ জনগণ। কয়েক দিন আগে খুচরা পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। এর আগে বাড়িয়েছে পাইকারি পর্যায়ে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের গত ১৪ বছরের শাসনামলে খুচরা এবং পাইকারি উভয় পর্যায়ে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিছুদিন আগে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। এখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো। যার প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

নেতারা আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। ইতোমধ্যে সরকার প্রতি মাসে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এখন উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করবে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা।


গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, বিগত ১৪ বছরে সরকার এবং সরকারি দলের মদতপুষ্টরা দেশ থেকে ১০ লাখ কোটি টাকার বেশি পাচার করেছে। সরকারের কাছে দেশ চালানোর টাকা নেই। মাসে মাসে টাকা ছাপিয়ে তারা ব্যয় নির্বাহ করছে। এভাবে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেশকে দেউলিয়াত্বের পথে ধাবিত করছে অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার। দেশ, দেশের অর্থনীতি ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে এখনই এই সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com