মির্জা ফখরুলকে ‘পাগল’ বললেন নানক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বাঁয়ে) ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বাঁয়ে) ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।ছবি : সংগৃহীত

দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলেন তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এ দেশে শিশু ও পাগল ছাড়া আর কেউ নিরপেক্ষ নয়। তাই মির্জা ফখরুল সাহেব হয়তো শিশু, নয়তো পাগল। সেই কারণে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান।

আজ শনিবার উত্তরায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, মির্জা ফখরুল প্রতিদিন বলেন—সরকারের উৎখাত-পতন ঘটাবে, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে। এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে কারাগারে ছিলেন। মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কারাভোগ স্থগিত রেখে নিজ বাসায় থাকার সুযোগ করে দেন। কিন্তু তার ছেলে হাওয়া ভবনের মালিক তারেক রহমান দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তারেক রহমানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে নানক বলেন, সাহস থাকলে দেশে ফিরে এসে আইনের মোকাবিলা করুন। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও একুশে গ্রেনেড হামলার দায়ে সেই কুখ্যাত তারেক রহমানকে এ দেশের মানুষ গ্রহণ করবে কিনা।

বিএনপির-জামায়াত এখনো ওঁৎপেতে আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারকে ব্যর্থ করতে তারা সারা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। দেশে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। কিন্তু বাংলার জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই আওয়ামী লীগের উৎখাত করা যায়নি।

যুবলীগের ধারাবাহিক কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যুবলীগ যেভাবে রাজপথে আছে, সেভাবে থাকলে বিএনপি পালাবার পথ পাবে না। ওদের এখন নেতা কে? খালেদা জিয়া দণ্ডিত আসামি, তারেক জিয়া দণ্ডিত আসামি।  দণ্ডিত আসামি তারেক জিয়ার রাজনীতি করার এত খায়েস থাকলে দেশে এসে রাজনীতি করুক। দেখব হিম্মত কত।

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন— যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com