
বর্তমান সরকার দেশের সব রাজনৈতিক শিষ্টাচার ভঙ্গ করে দেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। আজ বুধবার ১২ দলীয় জোটের পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জোটের শীর্ষ নেতারা এ কথা বলেন।
এ সময় গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান নেতারা।
জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, ‘এসব বিভ্রান্তিকর ছবি ও তথ্য ছড়িয়ে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের অপপ্রয়াস যারা চালাচ্ছে এবং ব্যক্তিগতভাবে নুরুল হক নুরকে হেয় করার যে হীন চক্রান্ত সেটা দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না।’
নেতারা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন স্থগিত করতে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলেরও তীব্র নিন্দা জানান। নেতারা বলেন, ‘সরকার বিচার ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে। তারা বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে জনগণের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার হরণ করে একটি স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে।’
বিবৃতিদাতারা হলেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী মোহাম্মদ আবু তাহের, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ।
প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে সেই প্রত্যাশাই করেন নেতারা।