খুন-গুম, হত্যার রেকর্ড বিএনপির নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী দল নয়। লগি-বৈঠা, খুন-গুম, পুলিশ হেফাজতে হত্যা, পঙ্গু করে দেওয়ার রেকর্ড এই দলের নেই। এটা আছে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা আওয়ামী লীগের।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক র্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই র্যালির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
আমীর খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাই রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের ব্যবহার ও তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটায়। কারা এসব আগুন-সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, আমাদের কাছে এসব আগুন-সন্ত্রাসের সকল তথ্য প্রমাণ রেকর্ড আছে। এই দেশে যেদিন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, তখন ওইসব আগুন-সন্ত্রাসীদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আবারও আগুন-সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করার অপচেষ্টা চলছে। আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সভা-সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ যোগ দিতে রাস্তায় নেমেছে, সমাবেশে যোগ দিচ্ছে; সেখানে আমরা কেন সন্ত্রাস করব। সন্ত্রাসী তারা (ক্ষমতাসীনরা)। তাদের একমাত্র পথই হচ্ছে সহিংসতা ও সন্ত্রাস।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ যখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখনই জয়ী হয়েছে। এখন একদিকে বাংলাদেশের মানুষ, অন্যদিকে ফ্যাসিস্ট সরকার। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে রাস্তায় নেমেছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
আমীর খসরু বলন, ‘বিএনপিও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচনে যাবে না। বরং গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এটাকে দমন করার শক্তি কারও নেই।’র্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। এ সময় মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা, রুমা আক্তার, নাসিমা আক্তার কেয়া, নুরজাহান মাহবুব, সাবিনা ইয়াসমিন, অ্যাড. ফেরদৌসী বেগম, মায়া আক্তার, সেলিনা সুলতানা বিনা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি নাইটিংগেল মোড় ঘুরে পুনরায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।