
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে তা নিয়ে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি) আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ও মতামত জানিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, যদিও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর এ রকম ভিসা নীতি আমাদের দেশের জন্য অবমাননাকর। কারণ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা এমন এক মৌলিক অধিকার যা পেতে আমাদের দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো বারবার বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছিল। ঘোষিত এই ভিসা নীতি তারই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিধ্বনি বলে আমরা ধারণা করছি।
এবি পার্টির শীর্ষ দুই নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এই নীতি অনুসৃত হলে দীর্ঘমেয়াদে নির্বাচনী সংস্কৃতিতে একটা পরিবর্তন আসতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
নেতারা বলেন, কারা গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে এই অপকর্ম করছে, সেই তথ্য ও প্রমাণ দেশের সীমানা পেরিয়ে আজ দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কিছু গণতান্ত্রিক বিশ্ব জেনে গেছে এবং তারা এখন ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। যারই অংশ হিসেবে তারা নানান নিয়ম-নীতি, বিধি-বিধান ও নিষেধাজ্ঞা প্রণয়ন ও জারি করছে।
এবি পার্টি বিশ্বাস করে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে জনমত প্রকাশ ও ক্ষমতা হস্তান্তরের সাংবিধানিক কাঠামোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে তা বলবৎ রেখে বিদ্যমান কাঠামোয় শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভোটগ্রহণ এবং জাতীয় নির্বাচনে জনগণের স্বাধীন মতামত প্রকাশের পরিবেশ তৈরি সম্ভব নয়। বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন, মৌলিক মানবাধিকার, মতপ্রকাশ ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার এই সংগ্রামের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন জোগাতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিপ্রায়কে দেশবাসী ইতিবাচক ও উৎসাহব্যাঞ্জক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করে বলে আমরা মনে করি।