আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের হত্যাকারী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তেল, গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও এদের শাসনামলেই গণতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এরা ক্ষমতায় এসেই জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়। ’৭২ থেকে ’৭৫ সালে যেমন মানুষের কোনো বাকস্বাধীনতা ছিল না, এখনো নেই। এরা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রের বাহক নয়, হত্যাকারী।’
সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাগপার প্রেসিডিয়াম মেম্বার আসাদুর রহমান খান, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
বুলু বলেন, ‘জিয়াউর রহমানই এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। পরে স্বৈরাচার এরশাদ গণতন্ত্রকে আবার ব্রাকেটবন্দি করলে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। এবার যারা ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন, তারা শুধু গণতন্ত্রই হত্যা করেনি, দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। একদিকে দেশের মানুষ অনাহারে, অন্যদিকে রাষ্ট্রের টাকা লুট করে বেগমপাড়ায় হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি করছে। গত চার বছরে সুইজারল্যান্ডের সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা জমা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি সব সময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করে। কিন্তু সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলোর বিপরীতে কাউন্টার কর্মসূচি দিয়ে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে বিএনপির ওপর দায় চাপাতে চায়। সরকারকে বুঝতে হবে, আজকের এই চলমান আন্দোলন শুধু বিএনপির একার আন্দোলন নয়, দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের আন্দোলন। জনগণ আপনাদের সীমাহীন অত্যাচারে বারুদে পরিণত হয়েছে। আর এ বারুদে হাত দিলে আগুনে হাত পুড়ে যাবে।