দেশে গ্যাস সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, সারা দেশে গ্যাসের সঙ্কট বেড়েই চলছে। বাসা-বাড়িতে গ্যাস থাকে না বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে শিল্পখাতে গ্যাসের দাম পৌনে দুইশ ভাগের বেশি বাড়ানোর ফলে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে আজ ফের বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য আরেক দাফ বাড়বে। ফলে জনগণের দুর্ভোগ আরও প্রকট হবে।
আজ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন—দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ মো. আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমিন, এম হাসিবুর রহমান, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা মকবুল হোসাইন, নূরুল করীম আকরাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলান আরিফুল ইসলামসহ অনেকে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, এমনিতেই মানুষ অর্থনৈতিক সঙ্কটে নিপতিত। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া সাধারণ জনগণের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হবে। বিদ্যুৎ খাতের ভুল নীতি ও দুর্নীতির দায় আবারও জনগণের ওপর চাপানো হচ্ছে।
বিদ্যুৎখাতে ব্যয় বৃদ্ধি, ভর্তুকি প্রত্যাহার ও মূল্য সমন্বয়ের নামে মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা জনগণকে দুর্ভোগে ফেলে লুটেরাদের পকেট ভারী করার চেষ্টা হচ্ছে। লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা করে জনগণকে কষ্টে ফেলে দেওয়ার কোনো মানে হয় না।
কর্মসূচি
এদিকে নেদারল্যান্ড ও সুইডেনে কোরআনে অগ্নিসংযোগ এবং পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক উসকানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক ডারউইনের মতবাদের অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার, বিজাতীয় সংস্কৃতির আধিপত্য ও ইসলামকে ভিনদেশি সাব্যস্ত করার প্রতিবাদ এবং বর্তমান পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করার দাবিতে ৩ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে।