সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সোমবার শত সেতুর উদ্বোধনকালে এসবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তার উদ্দেশে গণভবনে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার আজ মনে পড়ছে সেদিনের কথা, আপনি আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সম্ভবত ২০১১ সালে ২৮ নভেম্বর শপথ নিয়েছিলাম। এর পাঁচ দিন পরে ‘পোর্টফোলিও অ্যালোকেশন’ হয়। খুব ভোরবেলায় আপনি আমাকে ফোনে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি কোথায় যেতে চাও? আমি তো চাই তুমি তথ্যে গেলে ভালো হতো। নেত্রী মনে মনে এটাই ভেবেছিলেন যে, আমি তথ্যমন্ত্রী হই। আমি নেত্রীকে বললাম, আমাকে একটি কাজের জায়গা দেন, এখানে (তথ্য মন্ত্রণালয়) তো কথামালা। যেখানে কাজ আছে সেখানে দেন, আমি কাজ করতে ভালোবাসি। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যোগাযোগ (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়) পারবে? আমি বলেছিলাম, আপনার ছায়া থাকলে আমি পারব।
এর পরের ঘটনাবলি বর্ণনা করতে গিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারপর আপনার মুখ রক্ষার জন্য বৃষ্টিতে ভিজেছি, রোদে পুড়েছি। কুয়াশাভেজা রাত ও সকালে সেতু পরিদর্শনে গিয়েছি। এসব সেতুর অনেকটি একাধিকবার পরিদর্শনে গিয়েছি। আমি অনেক কষ্ট করেছি। আমার অনিয়মের জন্য, আমি জীবনের শেষ প্রান্তেই চলে গিয়েছিলাম, আল্লাহর রহমতে আপনার অশেষ চেষ্টায় ফিরে এসেছি। ফিরে আসার কথা ছিল না, সকালের খাবার বিকেলে খেয়েছি, দুপুরের খাবার রাতে খেয়েছি। ঘুমের ঠিক ছিল না, খাবারের ঠিক ছিল না।
তিনি আরও বলেন, এ কাজগুলো করেছি, জাতির কাছে আপনার মুখ রক্ষার জন্য চেষ্টা করেছি। আজকে দেশে ১ হাজার ৯৬০টি সেতু নির্মিত হয়েছে। আজকে ১০০-এর সঙ্গে ১৫টি যোগ করে ১১৫ সেতুর উদ্বোধন করতে পারতাম। কিন্তু আজকে এই ১০০ সেতুর উদ্বোধন আলাদা ও ঐতিহাসিক বিষয়।
পাহাড়ে যেখানে ধানচাষ করা হতো সেখানে আজ কী সুন্দর রাস্তা হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনার সৃষ্টিশীল ও ক্যারিশম্যাটিক লিডারশিপের সোনালি ফসল আজকের এই শত সেতু।