
যুবদলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সীমাহীন দুর্নীতি, পদ বাণিজ্য, নিষ্ক্রিয় ও অযোগ্যদের পদায়ন এবং ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে সংগঠনের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন এবং কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। নেতাকর্মীরা যুবদলের কমিটিতে বিভিন্ন অনিয়ম ও অসংগতি তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি যুবদলের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই তারা নিয়মিত বিক্ষোভ মিছিল করে আসছেন।
কয়েকজন নেতা জানান, সেই ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দলের ঘোষিত সব কর্মসূচি নিয়মিতভাবে পালন করে আসছেন। যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না দলের এমন দুঃসময়ে দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে এবং অন্যান্য অনৈতিক সুবিধা দিয়ে নেতাকর্মীদের পদায়ন করেছে। কিন্তু দলের দুঃসময়ে যেখানে ত্যাগী, সাহসী ও যোগ্য কর্মীদের পদায়ন করা প্রয়োজন সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবেই দলটিকে দুর্বল করে দিয়েছে।
তাদের অভিযোগ, সহসভাপতি মাহবুবুল হাসান ভুইয়া পিংকু, ইমাম হোসেন, নুরুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ দিপু, মাসুমুল হক মাসুম দলের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। শুধু অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে তাদের পদায়ন করা হয়েছে।
যুবদলের কয়েকজন নেতা কালবেলাকে জানান, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ভাতিজা পিংকু ফরিদপুরে ‘মুজিব শতবর্ষে’ সব অনুষ্ঠানে স্পন্সর করে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান নিষ্ক্রিয়। সভাপতির কাছের লোক হিসেবে তাকে পদ দেওয়া হয়েছে। এ রকম অনেককেই পদায়ন করা হয়েছে।
আজকের বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন—যুবদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি তারেক উজ জামান, শোয়াইব খন্দকার, আশরাফুর রহমান বাবু, হুমায়ুন কবির, জাকির হোসেন খান, সাজ্জাদ হোসেন উজ্জ্বল, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহাগ, এবিএম মহসিন বিশ্বাস, সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক কাজী মেজবাহুল আলম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান হাওলাদার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আজম, সাবেক ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলাম সরকার মাসুদ, খোরশেদ আলম, ইয়াকুব রাজু, খন্দকার রিয়াজ, মাজেদুল ইসলাম মাসুম, রবিউল হাসান আরিফ, সহধর্মবিষয়ক জিল্লুর রহমান কাজল, আবু জাফর রিপন, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান রিয়াদ, নাজমুল হাই রায়হান, হাফিজুর রহমান হাফিজ, এবাদুল হক পারভেজ, নিজাম উদ্দিন হাওলাদার।