
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) সমস্যা দূরীকরণে আলোচনা চলছে, সেখানে সব পক্ষের কথা শোনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আইনটি মূলত সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করা হয়েছে, সেখানেই আমরা থাকতে চাই।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই বলছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনটি যাতে আরও ভালো করা যায়, যে সমালোচনা হচ্ছে, তা যাতে দূর করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আজ মূলত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তারা (নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ) তাদের প্রস্তাবনার আলোকে যুক্তি আজ পেশ করেছেন। বৈঠকে ১২টার সময় বসেছি এবং সোয়া ২টা পর্যন্ত তাদের বক্তব্যই মূলত আমরা শুনেছি।
তিনি বলেন, ডিএসএর যেসব সমস্যা আছে, তা দূর করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই আইনের কোনটা কোনটা পরিবর্তন দরকার এবং কোনটা কোনটা সঠিক আছে, সেটা আমরা আজকের সভায় তুলে ধরিনি। তার কারণ হচ্ছে আমরা আজ সেই সময় পাইনি। সেজন্য আমরা আবারও ৩০ মার্চ বেলা ১১টার সময় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা কন্টিনিউ করব। সেই দিন ইনশাল্লাহ সমাপ্তি হবে বলে আমার মনে হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজ দুটি আইন নিয়ে আলাপ করার কথা ছিল। একটা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, আরেকটা হচ্ছে ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট। যেহেতু ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্টের একটা নতুন ড্রাফট হয়েছে। আজ ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে, তারা (নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ) সেটা দেখে আসেননি। সে কারণে মিউচুয়াল আলোচনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি- ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে আগামী ৬ এপ্রিল বসব। সেখানে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি আগের মিটিংয়ে যেসব সাজেশন দেওয়া হয়েছিল তার অনেকটিই সেখানে কনসিডারেশন করা হয়েছে।
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। নাগরিক সমাজের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রেজাউর রহমান লেনিন, সাইমুম রেজা তালুকদার, শারমিন খান।