ভাইয়ের দোকানে চাকরি করছিলেন দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন
ভাইয়ের দোকানে চাকরি করছিলেন দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন

৮০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পেলেন দুদকের সেই শরীফ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে চাকরিচ্যুত মো. শরীফ উদ্দিন ৮০ হাজার টাকা বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তিনি বেসরকারি ভেটেরিনারি মেডিসিন ফার্মে হেড অব টেকনোলজিস্ট হিসেবে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রায় ৩৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন জানিয়ে শরীফ বলেন, যেহেতু ভেটেরিনারিতে পড়েছেন, সে কারণে প্রাণীদের চিকিৎসাসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক ছিলেন শরীফ উদ্দিন। দীর্ঘ সময় তিনি চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। তিনি কক্সবাজারে ৭২টি প্রকল্পে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, কিছু রোহিঙ্গার এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, কর্ণফুলী গ্যাসে অনিয়মসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি মামলা করেন।

গত বছরের ১৬ জুন শরীফ উদ্দিনকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুতির কোনো কারণ উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ। তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করেন। তবে তার আবেদন কমিশনের কাছে বিবেচিত হয়নি।

চাকরি হারিয়ে পরিবার নিয়ে সংকটে পড়েন শরীফ উদ্দিন। দেড় মাস ধরে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মের পাশে বড় ভাইয়ের একটি কনফেকশনারি দোকানে চাকরি করছিলেন তিনি।

আরো পড়ুন: চাকরি হারিয়ে দুদকের শরীফ এখন দোকানের ‘ক্যাশিয়ার’

এক প্রশ্নের জবাবে শরীফ বলেন, ‘আমি আবার দুদকে ফিরে যেতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবার যাতে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়।’

শরীফ বলেন, কক্সবাজারে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে দুর্নীতি, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মামলা দায়ের ও তদন্ত করে দুর্নীতিবাজদের রোষানলে পড়েন তিনি। অন্যায়ভাবে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহাল চেয়ে এক আইনজীবী হাইকোর্ট রিট করেন। সেটির এখনো শুনানি হয়নি।

সাড়ে সাত বছরের চাকরিজীবনের প্রথম ছয় বছরই বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে (এসিআর) শরীফ উদ্দিনকে দুদকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ‘অতি উত্তম’ হিসেবে মূল্যায়ন করেন। তাকে তদন্তকাজে ‘অভিজ্ঞ’ এবং ‘উদ্যমী ও দক্ষ কর্মকর্তা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে দুদক। চাকরিচ্যুতির কোনো কারণ উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ।

Related Stories

No stories found.
logo
kalbela.com