
বিশ্বে ঢাকা ও দিল্লির মতো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আর দ্বিতীয়টি নেই এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে নিবিড় অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক বিদ্যমান, যা ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যে বছরে ৬৬ লাখ মানুষের যাতায়াত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত ভিসা জটিলতাকে আরও সহজ করতে কাজ করছে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি ঢাকা ক্লাবে প্রণয় ভার্মাকে সংবর্ধনা দিয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। বক্তব্য রাখেন দৈনিক কালবেলার প্রধান সম্পাদক আবেদ খান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুজাফফর হোসেন পল্টু, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন, দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ আরও অনেকে। সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মনি।
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক হাজার বছর ধরে এমন মন্তব্য করে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, পর্তুগিজ, বৃটিশদের বিরুদ্ধে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দুই দেশকে আলাদা করে দেওয়া হয়। ভারত মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সহযোগিতার মাধ্যমে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে এখনও অপশক্তি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নষ্ট করতে চায়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নতির মাধ্যমে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করার উপর গুরুত্ব দেন তিনি।
আবেদ খান বলেন, বাংলাদেশে এমন মানুষ নেই যারা বঙ্গবন্ধুকে এবং ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ককে স্মরণ করবে না। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র হয়েছে এবং হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি থেমে যাবে না।