ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের জেরে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে বিপদে ফেলেছে এমন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিশ্বে দারিদ্র্য মুক্তি, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক উন্নতিতে জাতিসংঘ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের দুর্বলতা রয়েছে। তাই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পুনর্গঠন জরুরি।
আজ বুধবার প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. মিল্টন বিশ্বাস।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, কলামিস্ট ফোরামের সহসভাপতি ড. রাশিদ আসকারী, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলা ২৪-এর মিডিয়া ডিরেক্টর মো. আফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস প্রমুখ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘকে উপেক্ষা করে কোনো কোনো দেশ নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। শক্তিশালী দেশগুলো যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এতে তাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত তিন বছরে বাংলাদেশে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ বন্দুকধারীদের গুলিতে মারা যায়।
গুম নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হয় তা সঠিক নয় দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৬৮ জনের গুমের তথ্য আমরা জানি। এদের মধ্যে দুজন আবার ভারতীয় নাগরিক। তাদের বাদ দিলে সংখ্যা ৬৬ জনে দাঁড়ায়। কিন্তু গত ৩ বছরে বাংলাদেশে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং হয়েছে- তা আমার জানা নেই। যারা মারা গেছেন তারা অপরাধী।
বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, আমরা তথ্য ও নথিগুলো এখনো পাঠাতে পারিনি। আরও আগে পাঠাতে পারলে স্বীকৃতি পেয়ে যেতাম। এটা নিয়ে কাজ চলছে।