আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে সংশয় থাকলেও এখনও পর্যন্ত আশা ছাড়েনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাশ না হলে দেড়’শ আসনে এ যন্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলেছিলেন, ‘এখন আপনাদের অবস্থান কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৫ তারিখ বলা মানেই তো ১৫ তারিখ নয়। দুই-এক দিন এদিক-সেদিকও হতে পারে। পরিকল্পনা কমিশন যদি এ মাসেও দেয় এতটুকু পারবো, তাহলে আমরা আপনাদের চূড়ান্তভাবে বলতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তো বলেছিলাম সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করবো। এটা একজ্যাক্ট বলা যায়নি কারণ কতটা ট্রেনিং দিয়ে প্রস্তুত করতে পারবো। ইভিএম কেনার বিষয় আছে, সফটওয়্যার ইনস্টল করার ব্যাপার আছে। তারপর সেটা চেকিং, ট্রেনিং, ভোটার এডুকেশন; সবকিছু মিলিয়েই আমরা বলেছি জানুয়ারির মধ্যে না হলে দেড়শ আসনে করা সম্ভব না। এখনও আমরা সেই অবস্থানেই আছি। কারণ এটা তো একটা হিউজ কাজ। নানা রকম ব্যাকআপ সার্ভিস তৈরি করার জন্য অনেক সময় লাগবে।’
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রজেক্ট এখনও অনুমোদন পায়নি এবং লেটেস্ট কী অবস্থায় আছে তা এখনও পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানায়নি। তবে আমরা কমিশন সভায় এটা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। যদিও এজেন্ডাভূক্ত নয়, তবু আলোচনা হতে পারে। আলোচনা হলে একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
মো. আলমগীর বলেন, ‘প্রজেক্টের কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের বক্তব্য বৈঠকে শোনা হবে। এরপর নির্বাচন অধিশাখার কর্মকর্তা এবং ট্যাকনিক্যাল কর্মকর্তার বক্তব্য শুনতে হবে। তারপর বলা যাবে, কতদিনের মধ্যে কতটা পেলে কত আসনে ভোট করতে পারবো ইভিএমে।’
সাবেক এ ইসি সচিব আরও বলেন, ‘দুই লাখ না হয়ে আরও কম হতে পারে। হয়তো একলাখ হতে পারে। কমও তো হতে পারে। তবে পরিকল্পনা কমিশন থেকে এখনও ইয়েস বা নো কোনোটাই তো বলে নাই তারা। যেহেতু ইয়েস, নো কোনোটাই বলে নাই, সেহেতু চূড়ান্তভাবে তারা কিছু বললে আমরাও বলতে পারবো।