
টেকসই উন্নয়নে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাসহ (আইএলও) শ্রমিক সংগঠনগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। বিভিন্ন দেশে ১০ লাখ নারী কর্মীসহ প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ অভিবাসী কর্মী রয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন-বাংলাদেশ (আইটিইউসি-বিসি) এমআরএ প্রজেক্টের কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আখতার চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা তোফাজ্জল হোসেন বাগু, জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, শহীদুল্লাহ বাদল, নাসরিন আখতার ডিনা প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে শাকিল আখতার চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ১৯৭৬ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রম অভিবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে। আইএলওর হিসাবমতে, ১৯৭৬ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরব, ওমান, কাতার, জর্ডান, মরিশাস, কুয়েত, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, লেবানন, লিবিয়া, সুদান, মিসর, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনেই, জাপান, মালদ্বীপ, ইতালি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে ১ কোটি ৩০ লাখ ২৫ হাজার ১৭৮ জন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক পাড়ি জমান। এর মধ্যে ১৯৯১ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নারী অভিবাসী কর্মী সংখ্যা ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬ জন। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৯ থেকে ১০ লাখ শ্রমিক বিদেশে পাড়ি জমান।
সংবাদ সম্মেলনে টেকসই উন্নয়নে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় আইএলওসহ দেশি-বিদেশি সব শ্রমিক সংগঠনকে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।