মিয়ানমারের স্বাধীনতার হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে দেশটিকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ঢাকা আশা প্রকাশ করেছে, নেপিডো বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমি রাখাইনে ফেরত নেবে। আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে মিয়ানমারকে অভিনন্দন জানিয়ে এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বার্তায় মিয়ানমারের হীরকজয়ন্তীতে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দেশটির জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এ ছাড়া নিকট প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক কল্যাণকর সম্পর্ক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে বলা হয়, দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হলে বাংলাদেশের ওপর থেকে চাপ কমবে।
এদিকে, মিয়ানমারের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় ভাষণে বুধবার দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ভারত, থাইল্যান্ড ও লাওসকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ইতিবাচক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ায় বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তবে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেও রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কিছু বলেননি মিয়ানমারের সেনাপ্রধান।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-নিপীড়নের মুখে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল চার লাখের অধিক রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। পরে চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি হয়েছিল। তবে এই সংকটের চার বছরেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। উল্টো রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন এখনো অব্যাহত রয়েছে। তবে ঢাকার পক্ষ থেকে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক উপায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।