
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আইন আদালত বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরামসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। এ ঘটনায় ফোরামের নেতারা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন। প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের অভিযোগ লিখিতভাবে দিতে বলেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে ছুটে গেলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচয়পত্র, মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও হামলার হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। পুলিশ সাংবাদিকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে এবং সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়। হামলায় সাংবাদিকরা আহত হয়ে মিলনায়তন থেকে বেরিয়ে গেলেও দুজন ক্যামেরাম্যানকে আটকে রাখে পুলিশ। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের হামলায় ল’রিপোর্টার্স ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ফজলুল হক মৃধা, সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এস এম নূর মোহাম্মদ, এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আখতার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার জান্নাতুল ফেরদাউস তানভী, বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপারসন ইব্রাহীমসহ ১০ থেকে ১২ জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে এটিএন নিউজের জাবেদ আখতার গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ল’রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা এই ন্যক্কারজনক পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি ও আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার দাবি করেন নেতারা।
এদিকে এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্প্রচার সাংবাদিকের সবচেয়ে বড় সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ ঘটনায় সাংবাদিকরা কোনো পক্ষ নয়, তারা শুধু সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। কিন্তু গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচয়পত্র এবং মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও তাদের টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়। যা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।
হামলার পাশাপাশি পুলিশ সাংবাদিকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে। বিজেসি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশের এ সব সদস্যের শাস্তি নিশ্চিতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো দারি করছে বিজেসি।
এদিকে সাংবাদিকেদের বড় সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে হামলাকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে।