
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় রিমান্ড শেষে শিক্ষার্থী সজিব আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত সজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত কারাগারে এ আদেশ দেন।
এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক হাসান মাতুব্বর। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আবেদনের বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে। আসামিকে এজাহারে উল্লিখিত নকল সিলের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মূল বিষয়গুলোও এড়িয়ে যায়। আসামির কাছে প্রাপ্ত তথ্যাদি যা মামলা তদন্ত কার্যে সহায়ক হবে। ওই আসামির দেওয়া তথ্য যাচাইবাছাইসহ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মামলা তদন্ত অব্যাহত আছে। আসামির নাম ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জেল হাজতে আটক রেখে মামলার তদন্তকার্য সম্পন্ন করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৫ মে আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামি সজিব আহমেদ ইসলামিক স্টাডিজ থেকে অন্য সাধারণ বিষয়ে মাইগ্রেশনের জন্য আবেদন করেন। আবেদনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের সিল ও স্বাক্ষর জাল করেন। আবেদনটি যাচাইবাছাই করতে গেলে ডিন অফিস কর্তৃপক্ষ উপাচার্যের স্বাক্ষর সন্দেহজনক মনে করে। এরপর আসামি সজিবকে ডিন অফিসে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৪ মে সজিব উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।