ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫-এর বিচারক সামছুন্নাহারের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে সাবেক এমপি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হয়। ২০০১ সালের শেষের দিকে বাদীর চাচার মাধ্যমে এমপি আরজুর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তিনি নিয়মিত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আসামি তাকে জানান, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর আসামির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাদের একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। এর আগে আসামি বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করেন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আসামির আচার-আচরণে পরিবর্তন আসে।
একপর্যায়ে আরজু বাদীর বাসায় আসা বন্ধ করে দেন। পরে তিনি জানতে পারেন, এমপি আরজুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী জীবিত। সে ঘরে কন্যাসন্তান আছে। আরও জানতে পারেন, আরজু এর আগে বাদীর কাছে নিজের নাম ফারুক হোসেন হিসেবে প্রচার করলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু। আসামি কয়েকবার নিজে ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে তিনি বাদীর সঙ্গে বিয়ে ও ঔরসজাত কন্যার পিতৃপরিচয় সরাসরি অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ২২ এপ্রিল আদালতে মামলা করেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দেন।
এরপর গত ১৬ জানুযারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫-এর বিচারক সামছুন্নাহার পিবিআইর প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।