
রাজধানী থেকে ভয়ঙ্কর মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের বড় চালান জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় টেকনাফের আইসের মূল কারবারিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন—মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. মেহেদী হাসান।
আজ বুধবার দুপুরে গেণ্ডারিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আল আমিন।
তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে যাত্রাবাড়ী থানার উত্তর সায়েদাবাদ হাজি বোরহান উদ্দিন টাওয়ার সংলগ্ন আল কারিম হাসপাতালের সামনে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী মো. মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে আমদানি নিষিদ্ধ মাদক এক কেজি ৭০০ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর টেকনাফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রাজধানীতে আইস নিয়ে আসেন। তিনি আইস পাচারকারীর মূলহোতাও। পাশাপাশি তিনি সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাস চালকও। মূলত বাস চালানোর আড়ালে তিনি এসব মাদক কক্সবাজার টেকনাফ হয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
আল আমিন জানান, জাহাঙ্গীর ২০১৫ সাল থেকে ইয়াবা ও ২০২০ সাল থেকে আইস পাচারের সঙ্গে জড়িত। আগে টেকনাফ সীমান্ত থেকে ইয়াবা-আইস ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন। পরে নিজেই টেকনাফ থেকে ইয়াবা ও আইস ঢাকায় এনে বিক্রির জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। ইয়াবা থেকে আইসের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় আইস পাচার ও বিক্রির জন্য আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার মেহেদী এসব মাদক সরাসরি সেবনকারীদের কাছে পৌঁছে দিতেন। এর আগে মাদক বিক্রিতে জড়িত থাকার দায়ে চারবার গ্রেপ্তারও হয় জাহাঙ্গীর। উদ্ধারকৃত আইসের বাজারমূল্য কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত। প্রতি গ্রাম পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, আইস মূলত উচ্চমূল্যের মাদক। এ কারণে অভিজাত এলাকার ক্রেতারাই এটি বেশি সেবন করেন। আইস ঢাকার ভেতরেই বেশি ব্যবহার হয়। গ্রাম বা মফস্বলে এখনো এর বিস্তার ঘটেনি। তবে এ ধরনের মাদক যেন সারা দেশে মাদক কারবারিরা পাচার বা বিক্রি করতে না পারে সেজন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলেও জানান।