
ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে মিরপুর থেকে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল গভীর রাতে মিরপুর মডেল থানার দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. শাহিন ওরফে বল্লা শাহীন (২৫), মো. ইউসুফ চৌধুরী (২৮), মো. আব্দুল আলিম (২৩), মো. মামুন কাজী (৩২), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৬), সুলতান মাহিদ পিয়াস (৩৩), মো. তুষার (৩১) এবং মো. রাহাদ (২৮)।
ওসি মহসীন জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রত্যেকেই পেশাদার অপরাধী। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তন্মধ্যে বল্লা শাহীন ২০১৯ সালে মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বল্লা শাহীন বাকিদের নিয়ে দক্ষিণ পীরেরবাগ আল বারাকা বেকারি নামের প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে গিয়েই প্রথমে নিজেকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু এ পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বেকারিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে অভিযোগ করে পরে বিভিন্ন সমস্যা হবে বলে ভয়ভীতি দেখান।
এক পর্যায়ে বেকারির কর্মচারীরা ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিলেও তারা বিভিন্ন গালাগাল করেন। এ সময় দোকানের এক কর্মচারী কৌশলে পুলিশকে ফোন করে জানালে বল্লা শাহীন ও তার পুরো দলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বল্লা শাহীন ও তার দল গতকাল ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সাজলেও এর আগে অন্য বেশে চাঁদাবাজি করেন। ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে তারা পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করেন! এ ঘটনায়ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
ওসি মহসীন বলেন, বল্লা ২০১৯ সালে মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, হত্যা প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪টি মামলা রয়েছে। সুলতান মাহিদ পিয়াসের বিরুদ্ধে রয়েছে ৩টি। এ ছাড়া মো. ইউসুফ চৌধুরী, মো. আব্দুল আলিম, মো. মামুন কাজী, মো. দেলোয়ার হোসেন ও রাহাতের বিরুদ্ধেও ২টি করে মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত বল্লা ও তার সহযোগীদের আজ আদালতে তোলা হলে তাদের মধ্যে থেকে ৫ জনকে এক দিনের রিমান্ড প্রদান করা হয়।